‘গণমত’ বাংলাদেশ ও প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের সমন্বয়ে একটি জনসচেতনতামূলক উদ্যোগ।
‘গণমত’-এর লক্ষ্য রাজনৈতিক অধিকার ও যোগ্য নেতৃত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতার বিকাশের মাধ্যমে জনমত গঠন করা। গণমত বিশ্বাস করে, সঠিক জনসচেতনতা তৈরির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনে স্বৈরাচার, কর্তৃত্ববাদ ও বৈষম্য রোধ করে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব।
গণমত অনুধাবন করে যে, যোগ্য নেতৃত্বের প্রধান শর্ত হতে পারে ন্যায়বিচার, সততা, জ্ঞান, সহানুভূতি, এবং ধৈর্য্য – এই ৫টি গুণাবলী। দেশের অভিজ্ঞতা বলে, নেতৃত্ব নির্বাচনে রাজনৈতিক আনুগত্য ও পরিবারতন্ত্রের প্রাধান্য দেওয়ার ফলে স্বৈরাচারের জন্ম হয়েছে, যা জনগণের জন্য সীমাহীন দুর্ভাগ্য ও বৈষম্য এনেছে। প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্নীতিতে ডুবে গেছে, এবং মানুষে মানুষে বিভেদ ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হয়েছে।
সঠিক জনমত গঠন দেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে জনগণ ও শাসকের মধ্যে দূরত্ব দূর করতে পারে, যা অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে। নেতৃত্বের প্রশ্নে বারবার শোনা যায় ‘বিকল্প নেই’; গণমত বিশ্বাস করে বিকল্প আমাদের মধ্যেই আছে। জনগণের মধ্যে যারা নেতৃত্বের ৫টি গুণাবলী ধারণ করে, তারাই হবে ভবিষ্যতের বিকল্প নেতৃত্ব।
গণমত মানবাধিকার, স্বাধীনতা, সাম্য, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বৈষম্যহীনতার নীতিসমূহ ধারণ করে এবং একটি নিরপেক্ষ সংগঠন হিসেবে কাজ করে। ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত ‘গণমত’ জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
দেশে ও প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশীদের কল্যাণের লক্ষ্যে গণমতের সকল কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বাংলাদেশের জনগণ এই অলাভজনক সংগঠনের সুবিধা ভোগ করবে।